লোকের মনে প্রচলিত ধারণা-মরিচ স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। মরিচ বেশি খেলে পেটের সমস্যায় ভুগতে হয়। সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনে অস্ট্রেলিয় গবেষকেরা জানিয়েছেন, খাবারে নিয়মিত মরিচ খেলে ইনসুলিনের চাহিদা অনেকটাই কমে যায়।
তাই টাইপ টু ডায়াবেটিসে যারা ভুগছেন, তাদের খাবারে মরিচ থাকা উপকারী। মরিচ খেলে পাকস্থলির ক্যানসার হয় এই ধারণাও ভুল। মরিচ পাকস্থলির ঘা হওয়া আটকে নতুন কোষকলা নির্মাণে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ওই গবেষণায় জানানো হয়েছে, মরিচে যত বেশি ঝাল তা তত উপকারী। কারণ মরিচের বীজে ক্যাপসায়কিন নামে যৌগ থাকে। যা গলার সংক্রমণে বাধা দেয়। শোনা যায়, মুম্বইয়ে লতা মঙ্গেশকর কাঁচা কোলাপুরী মরিচে খান।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মরিচের কী কী গুণাবলী রয়েছে:
১. মরিচ পাকস্থলিতে ক্যানসার হওয়া আটকায়।
২. ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যে উপকারী।
৩. মরিচ খেলে ভালো ঘুম হয়।
৪. অতিরিক্ত ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে।
৫. যাদের সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তারাও কিন্তু মরিচ খেতে পারেন।
৬. ফুসফুসে জমে থাকা কফ-শ্লেষ্মা তাড়াতে পারে মরিচ।
৭. হার্টে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে মরিচের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
৮. অনুচক্রিকার ধ্বংস রোধ করে রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করে মরিচ।